Summary

Learn the clear signs of phone hacking and discover simple prevention tips to protect your privacy, data, and smartphone security. Stay safe from cyber threats.

Article Body

ফোন হ্যাকের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়, এখনই জানুন কতটা নিরাপদ আপনার স্মার্টফোন
ফোন হ্যাকের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়, এখনই জানুন কতটা নিরাপদ আপনার স্মার্টফোন
আজকাল আমাদের স্মার্টফোনই যেন পুরো জীবনের ভাণ্ডার। ব্যাংকের ডিটেলস, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট, ব্যক্তিগত ছবি, এমনকি অফিসের ফাইলও জমা থাকে এক ছোট্ট ডিভাইসের ভেতরে। তাই ফোন যদি হ্যাক হয়ে যায়, সেটা শুধু অসুবিধা নয়, প্রাইভেসি আর নিরাপত্তার জন্য বিশাল হুমকি। সমস্যা হলো, বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না যে তাদের ফোন আসলেই হ্যাক হয়েছে কি না। কয়েকটা লক্ষণ আছে, যেগুলো খেয়াল করলেই বোঝা যায় কিছু একটা ঠিক নেই। আর সেই লক্ষণগুলো না চিনলে ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।

ফোন হ্যাক হলে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়

ফোন হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে স্লো হয়ে গেলে প্রথমেই সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে তখন, যখন আপনি সম্প্রতি কোনো ভারী অ্যাপ ইনস্টল করেননি। একইভাবে, ডাটা খুব দ্রুত খরচ হতে থাকলে ধরে নেওয়া যায়, ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো ক্ষতিকর সফটওয়্যার চলছে এবং আপনার তথ্য চুরি করছে।

ব্যাটারির অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া আরেকটা বড় ইঙ্গিত। কারণ হ্যাকিং হলে একসঙ্গে অনেক প্রসেস ফোনের ভেতরে সক্রিয় থাকে। তার ফলে চার্জ অস্বাভাবিকভাবে নেমে যায়। আপনার নম্বর থেকে অচেনা কল বা মেসেজ চলে যাওয়া, আবার মাঝে-মধ্যে অদ্ভুত লিংক বা স্প্যাম মেসেজ পাওয়া, এসবও ফোন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।

আরও কিছু বিষয় চোখে পড়ার মতো, যেমন, ফোন হঠাৎ হ্যাং হয়ে যাওয়া, নিজে থেকেই রিস্টার্ট হওয়া, অ্যাপস হঠাৎ খোলা বা বন্ধ হয়ে যাওয়া। কখনও এমনও হয়, ফোনে এমন কিছু অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলো আপনি নিজে ডাউনলোডই করেননি। সোশ্যাল মিডিয়া বা ইমেল থেকে বারবার লগআউট হওয়া, কিংবা অচেনা নোটিফিকেশন আসাও ফোন হ্যাকের ইঙ্গিত হতে পারে।

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়

প্রথম নিয়ম, শুধু অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম যেমন Google Play Store বা Apple App Store থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করুন। থার্ড-পার্টি সাইট থেকে অ্যাপ নিলে ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যায়। নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার ও সিকিউরিটি আপডেট ইনস্টল করা জরুরি, কারণ পুরনো ভার্সন হ্যাকারদের টার্গেট হতে সহজ।

ডেটার নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন, যাতে যেকোনো সাইবার হামলার পরেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রক্ষা পায়। ফোন লক আর অনলাইন একাউন্টের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করুন।

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার কমিয়ে দিন। খোলা নেটওয়ার্ক হ্যাকারদের জন্য সোজা দরজা খুলে দেয়। ফোনে একটি বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস বা সিকিউরিটি অ্যাপ রাখুন, যেটি ক্ষতিকর অ্যাপ বা ম্যালওয়্যার সময়মতো ব্লক করতে পারে।

সবচেয়ে বড় ভুল হয় সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করে। সেটা ইমেল, মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া, যেখানেই আসুক না কেন। একবার ক্লিক করলেই পুরো ফোন বিপদে পড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ অভ্যাস। যদি উপরের লক্ষণগুলো আপনার ফোনে দেখা দেয়, দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন এবং প্রয়োজনে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। শেষমেষ একটা কথাই, সতর্কতাই একমাত্র ঢাল, আর সামান্য সচেতনতা আপনার ব্যক্তিগত তথ্যকে বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।

Comments

TOPICS MENTIONED IN THIS ARTICLE

About the Author(s)