Article Body
শোনা যাচ্ছে, অ্যাপল এই ফিচারটিকে ৭.৫ ওয়াট চার্জিং স্পিডে চালু করবে। অ্যান্ড্রয়েডের দুনিয়ায় কিন্তু এই প্রযুক্তি নতুন নয়, ২০১৯ সাল থেকেই স্যামসাং, শাওমির মতো কোম্পানিগুলো ব্যবহারকারীদের এই সুবিধা দিয়ে আসছে। তবুও অ্যাপলের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা, কারণ তারা যখনই কিছু নিয়ে আসে, সেটি সাধারণত আরও মসৃণ আর নির্ভরযোগ্য হয়। হয়তো এজন্যই ব্যবহারকারীরা একটু অপেক্ষা করতেও রাজি থাকে।
iPhone 17 Pro
চীনের জনপ্রিয় টিপস্টার ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল জানিয়েছেন, অ্যাপল নাকি ইতিমধ্যেই iPhone 17 Pro মডেলে রিভার্স চার্জিং টেস্ট করছে। এর মানে, ব্যবহারকারী চাইলে কেবল ফোনের পেছনে এয়ারপডস বা অ্যাপল ওয়াচ রেখে সহজেই চার্জ দিতে পারবেন। এমন একটা ফিচার যেটা শুনতে ছোট মনে হলেও, বাস্তবে খুবই কার্যকর।
স্যামসাংকে পেছনে ফেলে, তবে শাওমির পিছনে
লিক অনুযায়ী, অ্যাপলের রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং ৭.৫ ওয়াট পর্যন্ত সাপোর্ট করবে। তুলনা করলে দেখা যায়, স্যামসাং গ্যালাক্সি S25 আল্ট্রা-তে চার্জিং স্পিড মাত্র ৪.৫ ওয়াট। তবে শাওমির সাম্প্রতিক ১৫ আল্ট্রা মডেলে ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং পাওয়া যায়। অর্থাৎ, অ্যাপল স্যামসাংকে হারালেও শাওমির সঙ্গে এখনও প্রতিযোগিতায় কিছুটা পিছিয়ে থাকবে।
iPhone 17 Pro ও Pro Max একই সুবিধা
যেভাবে iPhone 16 সিরিজে প্রো ও প্রো ম্যাক্সের ফিচার প্রায় একই ছিল, তেমনটাই হতে চলেছে নতুন লাইনআপেও। দু’টি মডেলেই থাকবে একই স্পেসিফিকেশন এবং সবচেয়ে বড় চমক হবে এই রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং। ফলে যারা বড় স্ক্রিন চান তারা নেবেন প্রো ম্যাক্স, আর যারা একটু কমপ্যাক্ট চান তারা বেছে নেবেন প্রো, ফিচারের দিক থেকে পার্থক্য থাকবে না।
iPhone দেরিতে আসা হলেও, দরকারি সংযোজন
অ্যান্ড্রয়েডে বহু বছর ধরেই এই ফিচার আছে, তাই অ্যাপল ভক্তদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে “এতদিন কোথায় ছিল অ্যাপল?” তবে বাস্তব কথা হলো, অ্যাপল সাধারণত তখনই কোনো টেকনোলজি বাজারে আনে, যখন তারা সেটিকে ব্যবহারকারীদের জন্য যথেষ্ট নিখুঁত করে তোলে। যদি এবার সত্যিই আইফোন ১৭-তে রিভার্স চার্জিং আসে, তবে সেটি হবে প্রথম অ্যাপল ফোন যা অন্য ডিভাইসকে চার্জ দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে। আর সেক্ষেত্রে সত্যিই বলা যায় “Better late than never!”
Comments