Article Body
এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন ব্যবহারকারীরা দ্রুত ফোন পেতে পারবেন, অন্যদিকে দামও কিছুটা কমতে পারে। Honor জানিয়েছে, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে তারা প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করার লক্ষ্য স্থির করেছে। অর্থাৎ, শুধু সস্তা ও সহজলভ্য স্মার্টফোন নয়, সঙ্গে তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও। এক কথায়, Honor-এর এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় বাজারে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
Honor কেন নিল এই সিদ্ধান্ত?
ভারতে Honor-এর উপস্থিতি নতুন কিছু নয়, তবে গত কয়েক বছরে ব্র্যান্ডটি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তা হয়তো অনেককেই অবাক করবে। বিশেষত, গত বছর বাজারে আসা Honor X9b এবং Honor 200 সিরিজ দারুণ সাড়া ফেলেছিল। ব্যবহারকারীদের এই আগ্রহই কোম্পানিকে লোকাল প্রোডাকশন শুরু করার জন্য আত্মবিশ্বাসী করেছে।
শুধু তাই নয়, ভারত সরকারও বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন এবং দেশীয় ম্যানুফ্যাকচারিংকে জোরদারভাবে উৎসাহ দিচ্ছে। ট্যাক্স সুবিধা থেকে শুরু করে বিশেষ নীতিগত সহায়তা—সবই মিলে এখন এই পদক্ষেপ নেওয়ার সঠিক সময় বলে মনে করছে Honor। কোম্পানির আশা, এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতে তাদের মার্কেট শেয়ার বাড়াবে এবং গ্রাহকরাও আরও ভালো অভিজ্ঞতা পাবেন।
Honor গ্রাহকদের কী কী লাভ হতে পারে?
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসবে ডেলিভারির গতিতে। যেহেতু ফোন সরাসরি ভারতে তৈরি হবে, তাই আগের মতো লম্বা ইমপোর্ট প্রক্রিয়া আর থাকবে না। ফলে নতুন মডেল বাজারে আসার সময়ও কমে আসবে।
আরেকটি বড় দিক হলো দাম। লোকাল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ফলে আমদানি খরচ অনেকটাই কমে যাবে। এর ফলে গ্রাহকরা তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে ফোন কিনতে পারবেন।
এছাড়া আফটার-সেলস সার্ভিসও সহজ হয়ে যাবে। ফোন মেরামত বা যন্ত্রাংশ বদলের মতো বিষয়গুলো আগের তুলনায় অনেক দ্রুত করা সম্ভব হবে।
আসছে কোন কোন নতুন মডেল?
শিল্প মহলের রিপোর্ট বলছে, Honor প্রথম পর্যায়ে কিছু জনপ্রিয় মডেলের লোকাল প্রোডাকশন শুরু করবে। এর মধ্যে রয়েছে Honor X9c এবং আসন্ন Magic 7 Pro। ইতিমধ্যেই এই মডেলগুলির প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহ তুঙ্গে, তাই স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ার ফলে এগুলো আরও দ্রুত এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক কথায়, Honor-এর এই উদ্যোগ শুধু ব্র্যান্ডের জন্য নয়, ভারতীয় গ্রাহকদের জন্যও বেশ বড় সুবিধা বয়ে আনতে চলেছে। এখন দেখার বিষয়, প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য ব্র্যান্ডও কি একই পথে হাঁটে, নাকি Honor-ই প্রথমে এগিয়ে যায়।
Comments